চার কুল পাঠ করে ঘুমানোর ফজিলত
আরও পড়ুনঃ আশুরায় করণীয় ও বর্জনীয় সমূহ
চার কুল পাঠ করে শরীরে ফুঁ দিয়ে ঘুমানো। হ্যাঁ আমাদের প্রিয় পাঠক পাঠিকাগন আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের চার কুল পাঠ করে ঘুমানোর বিষয়ে পবিত্র হাদিস শরিফে কি আসছে তা জানাব।
আপনারা যদি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনারা চার কুল পাঠ করে ঘুমানোর ফজিলত সম্পর্কে হাদিসের উক্তি জানতে পারবেন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া জাক-
আজকের পাঠ্যক্রম- চার কুল পাঠ করে ঘুমানোর ফজিলত
- চার কুল পাঠ করে ঘুমানোর ফজিলত
- এক সঙ্গে চার কুল বিস্তারিত
- ১ম কুল সুরা আল কাফিরুন
- বাংলা উচ্চারণ
- বাংলা তরজমা
- ২য় কুল সুরা ইখলাস
- বাংলা উচ্চারণ
- বাংলা তরজমা
- ৩য় কুল সুরা আল ফালাক
- বাংলা উচ্চারণ
- বাংলা তরজমা
- ৪র্থকুল সুরা আন নাস
- বাংলা উচ্চারণ
- বাংলা তরজমা
- শেষকথা
চার কুল পাঠ করে ঘুমানোর ফজিলত
চার কুল তথা সুরা আল কাফিরুন, সুরা ইখলাস, সুরা আল ফালাক ও সুরা আন নাস পঠ করে শরীরে ফুঁ দিয়ে ঘুমানোর কথা হাদিসে রয়েছে। আর এই আমল করলে আল্লাহ তাআলা সামগ্রিকভাবে আমাদের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) এই সুসংবাদ দিয়েছেন।
উরওয়া ইবনে নওফাল তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুল (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেন এসেছো?’ তিনি বললেন, এজন্য এসেছি যাতে আপনি আমাকে কিছু শিক্ষা দেন, যা আমি শোয়ার সময় পড়তে পারি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে, তখন “কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” পড়বে। তারপর এটি শেষ করে শুইবে। কেননা, এটি শিরক থেকে মুক্ত করে।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস- ২৬৫২৮, নাসায়ি, হাদিস- ১০৫৬৯)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুল (সা.) প্রতি রাতে যখন বিছানায় আসতেন, তখন দুই তালুকে একত্র করতেন। তারপর তাতে ফুঁ দিয়ে, ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ এবং ‘কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক’ ও ‘কুল আউজু বিরাব্বিন নাস’ পড়তেন। তারপর শরীরের যতটুকু অংশ সম্ভব মুছে দিতেন। শুরু করতেন মাথা ও চেহারা ও শরীরের সামনের অংশ থেকে। এভাবে তিনবার করতেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস- ২৪৮৫৩, সহিহ বুখারি, হাদিস- ৫০১৭)
এক সঙ্গে চার কুল বিস্তারিত
১ম কুল সুরা আল কাফিরুন
বাংলা উচ্চারণ
কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন। লাআ বুদু মা তা’আবুদুন। ওয়ালা আনতুম আবিদুনা মা-আ’বুদ। ওয়ালা আনা আবিদুম মা-আবাত্তুম। ওয়ালা আনতুম আবিদুনা মা আ’বুদ। লাকুম দি-নুকুম ওয়ালিয়া দ্বিন।
বাংলা তরজমা
বলুন, ‘হে কাফিররা! আমি তার ‘ইবাদাত করি না যার ‘ইবাদাত তোমরা করো। এবং তোমরাও তাঁর ‘ইবাদাতকারী নও যাঁর ‘ইবাদাত আমি করি। এবং আমি ‘ইবাদাতকারী নই তার যার ‘ইবাদাত তোমরা করে আসছ। তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
আরও পড়ুনঃ নামাজের জন্য সহজ ও ছোট ৫টি সূরা
২য় কুল সুরা ইখলাস
বাংলা উচ্চারণ
কুল হুআল্লাহু আহাদ। আল্লাহুচ্চামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।’
বাংলা তরজমা
(হে রাসুল! আপনি) বলুন, তিনিই আল্লাহ, একক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। আর তার সমতুল্য কেউ নেই।’
৩য় কুল সুরা আল ফালাক
বাংলা উচ্চারণ
কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক্ব; মিন শাররি মা খালাক্ব; ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইজা ওয়াক্বাব; ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাছাতি ফিল উক্বাদ; ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইজা হাসাদ।
বাংলা তরজমা
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে। অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
৪র্থকুল সুরা আন নাস
বাংলা উচ্চারণ
কুল আউজু বিরাব্বিন নাস; মালিকিন্ নাস; ইলাহিন্ নাস। মিন্ শররিল ওয়াস্ওয়াসিল খান্নাস; আল্লাজি ইউওয়াসয়িসু ফি ছুদুরিন নাস। মিনাল ঝিন্নাতি ওয়ান নাস।
বাংলা তরজমা
বলুন, আমি আশ্রয় চাই মানুষের পালনকর্তার কাছে, মানুষের অধিপতির কাছে, মানুষের মাবুদের কাছে। তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে। জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
আরও পড়ুনঃ সুরা ইখলাস পাঠের বৈশিষ্ট্য সমূহ
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url