ব্রিটিশ শাসনামলের জমিদারবাড়ী ময়েজ মঞ্জিল

আরো পড়ুনঃ জমিদার গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ী

বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তরগত ফরিদপুর জেলায় অবস্থিত ব্রিটিশ শাসনামলের জমিদারবাড়ী ময়েজ মঞ্জিল। হ্যাঁ পাঠক- পাঠিকাগণ আপনাদের অনেকে তিহাসিক এই বাড়ী বা মঞ্জিল সম্পর্কে জানার জন্য গুগোলে খোঁজ করে থাকেন। আপনারাও যারা এই মঞ্জিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাঁরা আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পুরোটাই পড়ে ফেলতে হবে। 

কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো "ব্রিটিশ শাসনামলের জমিদারবাড়ী ময়েজ মঞ্জিল'' সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাহলে দেরী নাকরে চলুন দেখে নেওয়া যাক-

ময়েজ মঞ্জিল কোথায় অবস্থিত

তিহাসিক ময়েজ মঞ্জিল বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার শহরের প্রাণকেন্দ্র, জেলা সার্কিট হাউজের নিকট ব্রিটিশ শাসনের সময় নির্মিত এই জমিদার বাড়ীটি অবস্থিত।

ময়েজ মঞ্জিল কে নির্মাণ করেন

তিহাসিক ফয়েজ মঞ্জিল নির্মাণ বা প্রতিষ্ঠা করেন জমিদার খান সাহেব ্ময়েজ উদ্দিন বিশ্বাস। ১৮৮৫ সালে ময়েজ উদ্দিন জমিদার বাড়ীর বার্ষিক আয় হতে ১্‌১,০০,০০০ (এগারো লক্ষ) রূপি ব্যয়ে এই মঞ্জিল নির্মাণ করেন। এই মঞ্জিল বা প্রাসাদটি জমিদার বাড়ীর অন্য সকল সদস্যদের নির্মিত প্রাসাদ গুলোর মধ্য সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ১৯১৬ সালে প্রাসাদটি পুননির্মাণ করা হয়।

আরো পড়ুনঃ প্রাক মুসলিম যুগের উন্নত নগরীর অবস্থান

ব্রিটিশ শাসনামলের জমিদারবাড়ী ময়েজ মঞ্জিল

১৮৮৬ সালে ফরিদপুরের জমিদার খান সাহেব ময়েজ উদ্দিন বাড়ীটিকে ব্যবহার করেন তাঁর সদর কাচারি হিসাবে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ইউসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া) চৌধুরী আব্দুল্লাহ জহির উদ্দিন (লালমিয়া) এবং এনায়েত হোসেন চৌধুরী (তারা মিয়া) জন্ম গ্রহন করেন এই বাড়োতেই। তাঁরা সবাই অন্যতম প্রধান রাজনীতিবিদ ছিলেন পাকিস্তান আমলের। 

পূর্ব বাংলায় ঢাকার বাইরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সকল অনুষ্ঠান ময়েজ মঞ্জিলে সংঘটিত হতো। শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মহাত্না গান্ধী, স্যার মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খানসহ পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বুক্তিত্বরা ১৯৫০ হতে ১৯৬০ এর দশকে এবং ভারতীয় অভিনেত্রীরা ১৯৩০ হতে ১৯৪০ এর দশকে আসেন এই জমিদার বাডীতে।

ফরিদপুর জেলা সার্কিট হাউজের নিকটে অবস্থিত  ময়েজ মঞ্জিল ৯ (নয়) একর জমির উপর নির্মিত। বর্তমানে জমিদার বাড়ীর কয়েকজন সদস্য এখনো বাস করেন এই বাড়ীতে। এই বাড়ীটি স্থাপিত হয় মুলত ৫৫ (পাচপান্ন) বিঘা জমির উপর কিন্তু ২৮ (আটাশ) বিঘা জমির উপর দিয়ে জাতায়াতের জন্য রাস্তা ময়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও হালমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে এর আকার অনেকটাই কমে যায়।

আরো পড়ুনঃ ঐতিহাসিক নীলসাগর দীঘি নীলফামারী

শেষকথা

আশাকরি আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে অনেকটাই শেয়ার করতে পেরেছি "ব্রিটিশ শাসনামলের জমিদারবাড়ী ময়েজ মঞ্জিল'' সম্পর্কে। যা আপনাদের অনেকটাই উপকারে আসবে, বিশেষ করে ময়েজ মঞ্জিল ভ্রমনের ক্ষেত্রে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ও উপকারি বলে মনে হলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Abir Hossain
Md. Abir Hossain
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও অর্ডিনারি আইটির সিনিয়র সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার। তিনি অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সফল হতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।